• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Delhi Blast

দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের সূত্র ধরে নতুন করে চাঞ্চল্য! কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় একযোগে NIA হানা

সোমবার ভোররাতেই জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং কুলগাম জেলার আটটি এলাকায় একযোগে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। হঠাৎ এই অভিযানে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে হওয়া সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত একটি হোয়াইট কলার টেরর মডিউল-এর খোঁজেই এই তল্লাশি অভিযান।সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শোপিয়ানে মৌলবী ইরফান আহমেদ ওয়াগের বাড়িতেও তল্লাশি চালান এনআইএ আধিকারিকরা। এই মৌলবীকে গত অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে এনআইএর হেফাজতেই রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা হোয়াইট কলার টেরর নেটওয়ার্কের মূল মাথা সে-ই হতে পারে।এছাড়াও শ্রীনগরে জইশের পোস্টার ছড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত আদিল র্যাদারের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।তদন্তকারীদের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গি যোগাযোগের বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট। ধৃত কয়েকজন চিকিৎসকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এই সূত্র ধরেই রবিবার দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃতদের সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগাযোগ থাকতে পারে। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে এই তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতদের সঙ্গে সম্ভবত পাকিস্তানি গুপ্তচর শেহজাদ ভাটির যোগ রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

হাওয়া অফিস নয়, গোয়েন্দারা বলছেন—আল-ফালাহ এখন ‘হাই আলার্ট’ এলাকায়

দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চমক সামনে আসছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যে তথ্য উঠে এসেছে, তা হল আত্মঘাতী জঙ্গি উমর-উল-নবি আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই গোটা তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। কারণ গত চার দিনে একের পর এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি, এবং তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই কোনও না কোনওভাবে জুড়ে রয়েছে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এই সংযোগই এখন সবচেয়ে বড় ধাঁধা।দিল্লি পুলিশ ও এনআইএর সন্দেহ আরও বেড়েছে কারণ যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসক। কিন্তু অভিযোগ বলছে তাঁদের আড়ালে চলত নাশকতার পরিকল্পনা, বিস্ফোরক পরিবহন, লজিস্টিক তৈরি থেকে শুরু করে জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা পর্যন্ত। এই তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছেতাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই তৈরি হতো জঙ্গি মডিউল?আরও ভয়ঙ্কর প্রশ্নএটা কি কেবল কয়েকজনের কাজ? নাকি কোনও সংগঠিত নেটওয়ার্ক কাজ করত ক্যাম্পাসের মধ্যে? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস থেকে নথি জব্দ করা হয়েছে, হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া ১৫ জন চিকিৎসকের ফোনও ট্রেস করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতির পাশাপাশি নাশকতায় জড়িত থাকার সন্দেহও প্রবল হচ্ছে।দিল্লি বিস্ফোরণের দিন গাড়িতে থাকা ডঃ উমর নাকি হাওয়ালা রুটে পেয়েছিলেন ২২ লক্ষ টাকাএই তথ্য তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। টাকা কোথা থেকে এল, কে পাঠাল, কেনই বা পাঠানো হলসবই এখন তদন্তের বড় প্রশ্ন।সমগ্র ঘটনাকে ঘিরে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় মানুষ সকলের মধ্যেই আতঙ্কশিক্ষার জায়গায় কীভাবে গড়ে উঠল এমন বিপজ্জনক চক্র?

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
দেশ

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ! এবার উদ্ধার সেনাবাহিনীর কার্তুজ, তীব্র ধন্দে তদন্তকারীরা

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার সামনে এল এমন তথ্য, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ এমএম ক্যালিবারের তিনটি কার্তুজযার মধ্যে দুটি তাজা এবং একটি ফাঁকা শেল। সাধারণ মানুষের হাতে এ ধরনের কার্তুজ থাকে না। সাধারণত সেনাবাহিনী বা বিশেষ অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থার কাছেই এই ধরনের কার্তুজ থাকে। ফলে বিস্ফোরণের ঘটনার পর এই উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তীব্র রহস্য।সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাই প্রশ্ন উঠছেকার্তুজগুলি কি বিস্ফোরণের সময়ই ছিল, নাকি পরে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাখা হয়েছে তদন্তকে ঘোলাটে করতে? ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি কার্তুজ খতিয়ে দেখছেন। সেগুলির উৎপত্তি থেকে শুরু করে ব্যবহারের সম্ভাব্য সময়সবই যাচাই হচ্ছে দ্রুতগতিতে।এদিকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং এনআইএ তদন্ত আরও জোরদার করেছে। বিশেষত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজের একাধিক কর্মীর উপর নজর বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষ কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিস্ফোরণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ১৫ জন চিকিৎসকের মোবাইল ফোন বন্ধ। ফলে সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।তদন্তকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওখলা অফিসেও হানা দিয়েছেন এবং বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছেন। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। জানা গিয়েছে, তিনি বিভিন্ন হাওয়ালা রুটের মাধ্যমে ২২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে এবং তার ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী ছিল, তাও এখন তদন্তের কেন্দ্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। লালকেল্লার মতো সংবেদনশীল এলাকার পাশে বিস্ফোরণের ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসায় গোটা রাজধানীতে আবারও ছড়িয়েছে উদ্বেগ।তদন্ত যত এগোচ্ছে, রহস্য ততই গভীর হচ্ছে। কার্তুজ উদ্ধার, নিখোঁজ চিকিৎসক, হাওয়ালা লেনদেনসব মিলিয়ে বিস্ফোরণের পেছনে কোনও বড় চক্র সক্রিয় থাকার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, এখনও পাওয়া তথ্য বরফের চূড়া মাত্র। আসল সূত্র পাওয়া গেলে উঠে আসতে পারে আরও বিস্ফোরক তথ্য।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
দেশ

লালকেল্লা বিস্ফোরণের ‘মাস্টারমাইন্ড’ চিকিৎসক আফগানিস্তানে? ইন্টারপোলের পাহারা বাড়াল ভারত

দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। তদন্তে সামনে এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের এক চিকিৎসকের নামমুজাফ্ফর রাঠার। তিনি এই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর থেকেই পলাতক মুজাফ্ফর পাকিস্তান পেরিয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে। তাকে ধরতেই এবার ইন্টারপোলের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। লক্ষ্যরেড কর্নার নোটিস জারি।মুজাফ্ফর রাঠার হলেন আরও এক অভিযুক্ত চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠারের ভাই। জানা গিয়েছে, দুজনেই দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগান্দ এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেছেন, ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল মুজাফ্ফরের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তার নাম। পাশাপাশি সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য২০২১ সালে উমর নবি এবং মুজাম্মিলের সঙ্গে তুরস্কে গিয়েছিলেন মুজাফ্ফর। সেখানে গিয়েই তিনজনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার খবর মিলেছে তদন্তে।তদন্ত অনুযায়ী, গত আগস্ট মাস থেকেই দেশছাড়া মুজাফ্ফর। সেই থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নাম ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই জম্মুকাশ্মীর পুলিশ রেড কর্নার নোটিসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তদন্তকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, বর্তমানে এই তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে এসআইএ-র হাতে। তাই রাজ্য পুলিশ সরাসরি ইন্টারপোলের কাছে যেতে পারে না। কেন্দ্রীয় সংস্থার মারফতই রেড কর্নার নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে।এর মধ্যেই লালকেল্লা বিস্ফোরণ-কাণ্ড আরও চাপ বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের উপর। কয়েকদিন আগেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঐতিহাসিক লালকেল্লা চত্বর। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের। ঘটনার পর থেকেই একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কিছু চিকিৎসক। শুক্রবার বাংলা থেকেও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ।বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে আসা চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে আদিল আহমেদ রাঠার, মুজাফ্ফর আহমেদ, মুজাম্মিল শাকিল এবং শাহিন সইদের। ফলে তাঁরা আর ভারতে কোনও হাসপাতাল অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা পেশা চালাতে পারবেন না। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যে সংগঠিত নেটওয়ার্ক ছিল, যার আঁতুড়ঘর কাশ্মীর থেকে বিদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
দেশ

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, তার, জ্বালানি—গাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরণের কারখানা! চাঞ্চল্যকর তথ্য

লালকেল্লার কাছে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তার তদন্তে এবার উঠে এল আরও ভয়াবহ তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ধৃত জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবি নাকি আই-২০ গাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরক তৈরি করেছিল। যে ৫০টিরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই কিলোগ্রামেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল দিল্লির ওই বিস্ফোরণে। সঙ্গে ছিল পেট্রোলিয়াম জাতীয় এক ধরনের জ্বালানি। গোয়েন্দাদের কথায় এটা ঠিক সেই ধরনের বিস্ফোরক, যা খনি এলাকায় ব্যবহৃত হয়।আই-২০ গাড়ির ধ্বংসাবশেষে মেলে সরু তার, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চিহ্ন এবং জ্বালানির দাগ। এখান থেকেই সন্দেহ প্রবল হয়গাড়িতেই কি বিস্ফোরক বানায় উমর? তদন্তকারীরা বলছেন, ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই এই ধরনের বিস্ফোরক তৈরি করা যায়। আর সব তথ্য মিলিয়ে তাঁরা এখন প্রায় নিশ্চিতগাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরক তৈরি হয়েছিল।তবে প্রশ্ন একটাইবিস্ফোরণ কি লালকেল্লার সামনেই করার পরিকল্পনা ছিল? নাকি আরও জনবহুল জায়গায়? সোমবার লালকেল্লা বন্ধ থাকে, তাই গোয়েন্দাদের মনে আরও সন্দেহ। পরিকল্পনা কি আসলে ছিল অন্য জায়গা টার্গেট করার?জেরায় ধৃতরা আরও স্বীকার করেছে যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশ ছাড়ার ছক ছিল মুজাম্মিল-শাহিনদের। তাঁদের লক্ষ্য ছিল কাতার বা তুরস্কে পালিয়ে অন্তত ছয় মাস লুকিয়ে থাকা। সেই উদ্দেশ্যে অনলাইনে নতুন পাসপোর্টের আবেদনও করেছিলেন তাঁরা। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই সেই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছেন, যিনি আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে গিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করেছিলেন। সব নথি আদৌ ঠিক ছিল কিনা, সেটাই এখন তদন্তের অন্যতম বড় প্রশ্ন।সূত্র বলছে, ৯-১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই শাহিন, মুজাম্মিল ও আদিল দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। আর উমর নবি কাশ্মীরে গিয়ে জঙ্গি ডেরায় লুকোতে চেয়েছিল। জেরা করে গোয়েন্দারা আরেকটি ভয়ংকর তথ্যও পেয়েছেন৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই তৈরি হয়েছিল এই বড় নাশকতার ছক।মুজাম্মিল ও শাহিনের নথিতে সমস্যা না থাকলেও, আদিলের নথিতে একাধিক গরমিল ধরা পড়েছে। নিজের বাড়ির ঠিকানা না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দাখিল করেছিল আদিল, অথচ কোনও প্রমাণপত্র দিতে পারেনি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অধিকাংশ নথিই জাল। যে পুলিশকর্মীরা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করেছিলেন, তাঁদের ভূমিকাও এখন তদন্তের আওতায়। এমনকি শাহিনের পাসপোর্টের ছবি তুলতে গিয়েও মোবাইলে ছবি তোলে সেই অফিসারএটিও নজরে এসেছে তদন্তকারীদের।ক্রমশ এই বিস্ফোরণকাণ্ড এক ভয়ংকর জঙ্গি-চক্রের দিকে আঙুল তুলছে, আর উঠে আসছে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নাশকতার পরত-ওপর-পরত।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

লালকেল্লা বিস্ফোরণে বাংলার যোগ! উত্তর দিনাজপুর থেকে মেডিক্যাল ছাত্র গ্রেফতার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

দিল্লির লালকেল্লার বাইরে যে বিস্ফোরণ-কাণ্ড দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে, সেই মামলায় উঠে এল বাংলার যোগ। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানার আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস পড়ুয়া যাহ নিশার আলমকে। জাতীয় তদন্ত সংস্থার বিশেষ দল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সকালেই তাকে আটক করে। হঠাৎ এই গ্রেফতারি ঘিরে এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাহ নিশারের আদি বাড়ি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক ভিটে ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে। বহু বছর আগে তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কাজের সূত্রে লুধিয়ানা গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। তবুও গ্রাম-পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক আজও অটুট। কয়েক দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন নিশার। কিন্তু সেই সফরেই তাঁর জীবনে নামল ঝড়বিয়ের আনন্দের মাঝেই এনআইএ তাকে তুলে নিয়ে যায়।তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তদন্তে প্রথমেই তাঁরা লুধিয়ানায় তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই জানা যায় যাহ নিশার এখন উত্তর দিনাজপুরে। খবর মিলতেই দ্রুত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যায় এনআইএর বিশেষ দল। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেই নিশারকে চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি। তাঁর ফোনের সিগন্যাল দেখাচ্ছিল সূর্যাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা। তারপরই সেখানে হানা দিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তাকে ইসলামপুরে জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়, পরে আরও তথ্যের খোঁজে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এদিকে যাহ নিশারের গ্রেফতারির খবরে হতবাক পরিবার এবং গ্রামের মানুষ। তাঁর কাকা আবুল কাশেম বলেন, ভাইপোকে আমরা ছোটবেলা থেকেই শান্ত-স্বভাবের ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়েই মাথা ঘামায় না। গ্রামের লোকেরাও একই কথা বলছেনশান্ত, ভদ্র, শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এমন বিস্ফোরক ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাওয়া তাদের কাছে অবিশ্বাস্য।এই গ্রেফতারি শুধু পরিবারকেই নয়, গোটা গ্রামকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট জানায়নি, তবে তারা মনে করছে, দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে যাহ নিশারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। এখন নজর সকলেরশিলিগুড়িতে চলা জেরা থেকে কী নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইডেন মানেই দুর্গ! কলকাতা পুলিশের ‘অপারেশন সেফ ক্রিকেট’ শুরু শুক্রবার থেকে

দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর গোটা দেশজুড়ে এখন লাল সতর্কতা। নিরাপত্তার নজরদারিতে তটস্থ রাজধানী থেকে রাজ্য পর্যন্ত। আর এই আতঙ্কের মধ্যেই শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বহুল প্রতীক্ষিত টেস্ট ম্যাচ, সেই ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে। শহর এখন কার্যত নিরাপত্তার দুর্গে পরিণত। কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে একটুও ঢিলেমি নয়।ইডেনের ভেতর থেকে বাইরেটা পর্যন্ত এখন কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঢাকা। খেলা চলাকালীন মাঠের গ্যালারিতে সাধারণ পোশাকের পুলিশ অফিসার মিশে থাকবেন দর্শকদের মধ্যেই। মাঠ ঘিরে, ফেন্সিং বরাবর, ছাদে, টাওয়ারে সর্বত্র মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশ বাহিনী। যেন ক্রিকেট উৎসবের আনন্দে কোনও অঘটন না ঘটে।কয়েক দিন আগেই ইডেন গার্ডেন্স ঘুরে গিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। খুঁটিয়ে দেখেছেন মাঠের প্রতিটি নিরাপত্তা দিক। জানা গিয়েছে, গোটা ইডেনকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও নয়জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। গ্যালারিতে, ক্লাব হাউসে, এমনকি ভিআইপি বক্সেও আলাদা করে থাকবে পুলিশের সুরক্ষা বলয়।এখানেই শেষ নয় ইডেনের বিভিন্ন অংশে মোতায়েন থাকবে কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি, থাকবে সশস্ত্র বাহিনীও। বাইরে, ইডেন সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ পুলিশ বাঙ্কার, যেখানে কমব্যাট ফোর্সের সদস্যরা থাকবেন প্রস্তুত অবস্থায়। শুক্রবার ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।লালবাজার সূত্রে খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের পরই কলকাতা পুলিশের তরফে জোর দেওয়া হয় খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তায়। ভারতীয় দলের প্রতিটি সদস্যের যাতায়াত, অনুশীলন, এমনকি হোটেল থেকে ইডেন যাওয়ার রাস্তাতেও বিশেষ নজর রাখা হবে। বলা হচ্ছে, এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কলকাতায় শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির সময়।শহরের বুকের এই ক্রিকেট মন্দিরে এখন তাই উৎসবের উত্তেজনার সঙ্গে মিশে আছে অজানা আশঙ্কার ছায়া। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি, ইডেন থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চিন্তে উপভোগ করুন খেলা।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

বাবরি মসজিদের ‘বদলা’ নিতে ছ’টি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা! প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর জইশ চক্রান্ত

দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের রেশ এখনো কাটেনি। ১০ নভেম্বরের সেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন, আহত আরও ২০ জন। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতিতে এখন প্রকাশ পাচ্ছে আরও ভয়ঙ্কর সত্য। এই বিস্ফোরণ ছিল না কোনও একক ঘটনাবরং ছিল এক বিশাল, ধারাবাহিক সন্ত্রাসের সূচনা মাত্র!কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হাতে এসেছে এমন তথ্য, যা রীতিমতো গা শিউরে দেওয়ার মতো। জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ ছিল একটি বড়সড় সিরিয়াল ব্লাস্ট প্ল্যানের প্রথম ধাপ। জইশ-ই-মহম্মদের হোয়াইট কলার মডিউল-এর তরফে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী।তদন্তে উঠে এসেছে, ওই দিন দিল্লির অন্তত ছয় জায়গায় একসঙ্গে বিস্ফোরণের ছক কষেছিল জইশ মডিউল। এনআইএ-র জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতে ওই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল এমন এক হামলার, যা গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দেবে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেবে।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই হামলায় মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করার ছক ছিল। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে ৪টি গাড়িএকটি হুন্ডাই আই-২০, একটি ব্রেজা, একটি সুইফট ডিজায়ার এবং একটি ফোর্ড ইকোস্পোর্ট। গাড়িগুলি কেনা হয়েছিল হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে, তাও পুরনো বা থার্ড হ্যান্ড গাড়ি হিসেবে, যাতে পুলিশ বা গোয়েন্দারা ট্রেস করতে না পারে।জইশের এই ডাক্তার-জঙ্গি মডিউল গোটা হামলাটিকে সাজিয়েছিল পাঁচ ধাপে। প্রথম ধাপে তৈরি হয় সন্ত্রাসবাদী মডিউল, যাতে ছিল জইশ ও আনসার ঘাজয়াত-উল-হিন্দের যোগ। দ্বিতীয় ধাপে নুহ ও গুরুগ্রাম থেকে বিস্ফোরক এনে মজুত করা হয়। তৃতীয় ধাপে কেমিক্যাল আইইডি বানানো হয় এবং সম্ভাব্য টার্গেট বেছে নিয়ে রেইকি চালানো হয়।এরপর চতুর্থ ধাপে সেই বিস্ফোরক ভাগ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন মডিউল সদস্যদের মধ্যে। সবশেষ ধাপে, অর্থাৎ পঞ্চম ধাপে, দিল্লির অন্তত ছয় থেকে সাতটি জায়গায় একসঙ্গে সিরিয়াল ব্লাস্ট ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল।তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে এই বিস্ফোরণগুলো করার ছক কষা হয়েছিল চলতি বছরের আগস্টে। কিন্তু পরে মাসুদ আজহারের নির্দেশে দিন বদলে করা হয় ৬ ডিসেম্বর। গোয়েন্দারা মনে করছেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার চায় বাবরি মসজিদ ইস্যুকে নতুন করে উসকে দিয়ে ভারতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে। বহু বছর ধরেই তারা বদলা-র হুমকি দিয়ে আসছে।এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি ছিল ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা। দিল্লির মতো শহরে একসঙ্গে ছটি বিস্ফোরণ ঘটলে তার পরিণতি অকল্পনীয় হত।এখন প্রশ্ন একটাইআরও কি গাড়ি প্রস্তুত রয়েছে এই মডিউলের হাতে? তদন্ত চলছে জোরকদমে। গোটা দেশের নিরাপত্তা সংস্থা এখন সর্বোচ্চ সতর্কতায়।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

উমর উন-নবিই—‘বইপোকা’ থেকে সন্ত্রাসী! দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে চমকপ্রদ কাহিনি

দিল্লি বিস্ফোরণের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত! ঘটনার পর থেকেই নানা জল্পনা চলছিল, আর এবার তদন্তে মিলল স্পষ্ট প্রমাণ। লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি চালাচ্ছিল যে যুবক, তার পরিচয় মিলেছে সে আর কেউ নয়, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর উন-নবিই।তদন্ত সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে উমরের পরিবারের সঙ্গে। উমরের মা ও ভাইয়ের ডিএনএ-র সঙ্গে মেলানোর পর দেখা যায়, একশো শতাংশ মিলেছে সেই নমুনা। অর্থাৎ, গাড়িটি চালাচ্ছিল উমর নিজেই, আর সেই বিস্ফোরণ ছিল এক আত্মঘাতী হামলা।বিস্ফোরণে ব্যবহৃত আই-২০ গাড়িটির নম্বর ছিল HR26 CE 7674। গাড়িটির মালিকানার ইতিহাসও কম চমকপ্রদ নয়। প্রথমবার ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ বিক্রি হয়েছিল এটি। তারপর একে একে গাড়িটি হাতবদল হয়সলমন থেকে দেবেন্দ্র, তারপর সোনু, তারিক, আর শেষে উমরের হাতে। কিন্তু কখনওই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে সেই বদল হয়নি। বিস্ফোরণের আগে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, উমর নিজেই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সুনহেরি মসজিদ থেকে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত। সেখানেই ঘটে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, উমর আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিল দুই সহযোগীকে নিয়ে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক সন্দেহভাজন ধরা পড়া ও আরডিএক্স উদ্ধার হওয়ায়, ভয়ে পড়েই সম্ভবত সময়ের আগেই বিস্ফোরণ ঘটায় উমর।বুধবার তদন্তকারীরা আরও একটি তথ্য হাতে পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, উমরের নামে আরও একটি গাড়ি রয়েছেএকটি লাল রঙের ফোর্ড গাড়ি, যেটি ২০১৭ সালে রাজোরি গার্ডেনে তাঁর নামে রেজিস্টার হয়। ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে গাড়িটি কিনেছিল সে। অনুমান, এটি দ্বিতীয় হামলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর থেকেই এই লাল গাড়িটির হদিশ নেই। এখন তল্লাশি শুরু হয়েছে গোটা দিল্লি জুড়ে।এদিকে উমরের নাম উঠে আসতেই স্তব্ধ তার পরিবার। কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কইল গ্রামের ছেলে উমরকে এক বইপোকা, শান্ত স্বভাবের পড়ুয়া হিসেবেই চিনতেন সবাই। উমরের বৌদি জানান, গত শুক্রবারই ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলেছিল সামনে পরীক্ষা আছে, লাইব্রেরিতে পড়ছে। এমন শান্ত, ভদ্র ছেলে এই কাণ্ড করবেবিশ্বাসই হচ্ছে না। পরিবারের দাবি, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির লড়াইয়ে ছিল উমরের মা। ছেলেকে নিয়েই ছিল সব আশা। সেই ছেলেই আজ দেশ কাঁপানো বিস্ফোরণের মূল accusedশোকে ভেঙে পড়েছেন সবাই।তদন্ত এখন অনেক গভীরে গিয়েছে। কে বা কারা উমরকে প্ররোচিত করল, কারা যোগ দিয়েছিল এই ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী ছকেসেই উত্তর খুঁজছে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

দিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই জানাল কেন্দ্র

দিল্লির বুক কাঁপিয়ে গেল এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ! লালকেল্লার সামনে সোমবারের (১০ নভেম্বর) সেই বিস্ফোরণ যে নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলাই ছিল, তা এখন আর কারও অজানা নয়। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলএটি ছিল এক ঘৃণ্য টেরর অ্যাটাক।বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বৈঠকের শুরুতেই দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় লালকেল্লা বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দেয়এটি দেশবিরোধী শক্তির পরিকল্পিত হামলা, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের নিরাপত্তা ও ঐক্যকে চ্যালেঞ্জ করা।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে ফেরার পরই সরাসরি ছুটে যান দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন, চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দেন যে এই জঘন্য ঘটনার দায়ে জড়িতদের একটিকেও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। যারা এই হামলার পিছনে, তাদের শাস্তি হবেই।এই ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে। গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, কোথা থেকে এবং কারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি এনআইএ-র একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।১০ নভেম্বর বিকেলে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, একের পর এক গাড়ি উড়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের দোকান ও বাড়ির জানলার কাচ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, একটা বোমার আওয়াজে যেন কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা!এখন প্রশ্ন একটাইকাদের হাত এই হামলার পিছনে? গোটা দেশ তাকিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দিকে। প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাসবার এক সুর, ভারতকে ভয় দেখানো যাবে না।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। বিদেশ থেকেও একাধিক দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। এদিকে কেন্দ্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

লালকেল্লা বিস্ফোরণে এবার বাংলাদেশ যোগ! চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এনআইএ-র

দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটনার পর কেটে গিয়েছে কয়েকদিন। কিন্তু রহস্যের জাল যেন আরও জটিল হচ্ছে প্রতিটি ঘণ্টায়। সোমবারের সেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১২ নিরীহ মানুষের। ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ (NIA)। আর এবার তদন্তে উঠে এসেছে এক নতুন মোড় এই বিস্ফোরণে জড়িয়ে গেল বাংলাদেশের নাম!গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ২,৯০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছিল ভারতে। শুধু তাই নয়, এনআইএ-র হাতে থাকা তথ্য বলছে, অন্তত আরও ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক খুঁজে বের করাই এখন তদন্তকারীদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।এতেই শেষ নয়, গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে দুই বাংলাদেশি মহিলা চিকিৎসকের নাম। জানা গেছে, তাঁরা দুজনেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে ডাক্তারি করছিলেন। তবে তাঁদের কাজ শুধুই চিকিৎসা নয় তাঁরা গোপনে জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করছিলেন বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।এনআইএ সূত্রে খবর, এই দুই মহিলা চিকিৎসকই মূলত লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করতেন ইস্তাম্বুল ও দোহা থেকে তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হয়েছিল ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ধৃত শাহিনকে জেরা করে এই দুই নারীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাঁদের কোনো হদিশ মেলেনি।সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয়, গোয়েন্দারা বলছেন, তুরস্কের সঙ্গে এই বিস্ফোরণ চক্রের যোগাযোগ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার সময় যেমন তুরস্ক পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল, এবারও একই রকম যোগাযোগের প্রমাণ মিলছে।সূত্রের দাবি, জইশ ও লস্কর-ই-তইবার নেতারা বারবার বাংলাদেশের মাটিতে প্রবেশ করেছে ধর্মীয় প্রচারের নামে। সেখানে তারা গোপনে নতুন ঘাঁটি তৈরি করছিল। এমনকি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের অফিস খুলতে চেয়েছিল, যার জন্য বাংলাদেশ সরকারের একাংশের অনুমতিও মেলে বলে গোয়েন্দাদের দাবি।তদন্তকারীদের মতে, যেহেতু পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের দিক থেকে ভারতে প্রবেশ এখন কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই জইশ ও লস্কর এখন বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে নাশকতার ছক বাস্তবায়ন করছে।এক কথায়, লালকেল্লা বিস্ফোরণের পেছনে লুকিয়ে আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি জোটের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

‘শিক্ষিত জঙ্গি নেটওয়ার্ক’! ডাক্তারদের জইশ সংযোগে কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ

দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের পর গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এক নজিরবিহীন অভিযান। তদন্তে উঠে এসেছে এক অভাবনীয় তথ্য এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল তথাকথিত হোয়াইট-কলার টেরর মডিউল, যেখানে যুক্ত ছিলেন একাধিক চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী। এই মডিউল জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একাধিক জেলায় একযোগে অভিযান চালাচ্ছে। শোপিয়ান, কুলগাম ও উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। মূল অভিযুক্ত মৌলভি ইরফান, যিনি শ্রীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজের এক প্যারা মেডিক্যাল কর্মী, তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, চিকিৎসক সমাজের মধ্যেই গোপনে জঙ্গি মগজধোলাইয়ের কাজ চালাতেন এই মৌলভি।তদন্তে আরেকটি ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে ফরিদাবাদ থেকে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিস্ফোরকই ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল একাধিক সিরিয়াল ব্লাস্টে। গোটা ষড়যন্ত্রের নকশা তৈরি হয়েছিল একই মডিউলের মাধ্যমে।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আটক আরও তিন জন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, ইন্টার্ন এবং প্যারা মেডিক্যাল কর্মীও। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের যোগ মিলেছে পাকিস্তানভিত্তিক জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে।নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, এটি ভারতের ইতিহাসে এক নতুন ধরণের সন্ত্রাসের চিত্র যেখানে অস্ত্র নয়, শিক্ষা ও প্রভাব ব্যবহার করা হচ্ছিল ভয় ছড়ানোর অস্ত্র হিসেবে।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

‘ডাক্তার মডিউল’-এর ছায়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডে! জইশের নয়া রণনীতি ফাঁস

দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। একের পর এক গ্রেফতার বাড়ছে। এবার ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। আরও তিনজনকে আটক করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ধৃতরা সকলেই জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের এক ভয়ংকর ডাক্তার মডিউল-এর সদস্য। এদের মধ্যে কেউ জম্মু-কাশ্মীর থেকে, কেউ বা হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়েছে।গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু এই ১৫ জনই নয় আরও ২০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃত চিকিৎসকদের সঙ্গে আটক সন্দেহভাজনদের সম্পর্ক কী, সেই দিকেই এখন তদন্তকারীদের নজর।সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার এক মৌলবীর নাম। দীর্ঘদিন ধরেই ওই মৌলবী তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন। শ্রীনগরের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, মেডিক্যাল ছাত্রদের মগজ ধোলাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। তরুণদের জঙ্গি পথে টানার দায়িত্ব অনেকটাই একাই সামলাতেন এই মৌলবী।গোয়েন্দারা বলছেন, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাঁর যোগ এখন প্রায় নিশ্চিত। যোগাযোগ ছিল উমর নবী ও মোজাম্মিলের সঙ্গে। এমনকী জইশ সংগঠনের মূল ঘাঁটির সঙ্গেও তাঁর সরাসরি সম্পর্ক ছিল বলে খবর। তাঁকে জেরা করে জইশের গোপন নেটওয়ার্কের আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।অন্যদিকে, কাশ্মীর জুড়ে চলছে নজিরবিহীন তল্লাশি অভিযান। শুধু গত কয়েকদিনেই প্রায় ৪০০ জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও এনআইএ। কুলগাম, সোপিয়ান, পুলওয়ামা সহ একাধিক জেলায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। নিষিদ্ধ জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের সদস্যদের বাড়িতেও হানা দিয়েছে পুলিশ।গত চার দিনে প্রায় ৫০০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সন্দেহ, এদের মধ্যে অনেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জইশ ও জামাতের সঙ্গে যুক্ত। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বহু ডিজিটাল ডিভাইস, যা থেকে মিলছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে ছড়িয়ে থাকা জইশের মেডিক্যাল-নেটওয়ার্ক এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। তদন্তকারীদের মতে, এই ডাক্তার মডিউলই ছিল জইশের নতুন কৌশল শিক্ষিত তরুণদের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর হামলা চালানোর পরিকল্পনা। আর সেই পরিকল্পনাই এখন ভেস্তে যাচ্ছে একের পর এক গ্রেফতারে।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

লালকেল্লা বিস্ফোরণ ফিদায়েঁ হামলা নয়, তাড়াহুড়োতেই বিপর্যয়! গোয়েন্দা রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্য

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ, যা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড়, সেটি আসলে পরিকল্পিত ফিদায়েঁ হামলা নয়, বরং তাড়াহুড়োর ফলেই ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনা এমনই ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে।সূত্রের খবর, ফরিদাবাদের ভাড়া বাড়ি থেকে প্রায় ৩,০০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করার পরই ভেস্তে যায় জঙ্গি ডাক্তার উমর নবীর মূল পরিকল্পনা। গোয়েন্দাদের ধারণা, সেই ঘটনার পরই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওঠে উমর। একের পর এক সহযোদ্ধা গ্রেফতার হচ্ছিল দিল্লি-এনসিআর ও ফরিদাবাদে। ধরা পড়ার ভয়েই সিদ্ধান্ত নেয় দ্রুত বিস্ফোরক সরিয়ে ফেলার।গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিস্ফোরকটি তখনও পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। কোনও শার্প নেল বা ধাতব টুকরো পাওয়া যায়নি, যা সাধারণত বড়সড় হামলায় থাকে। তদন্তকারীদের ভাষায়, যদি সেইভাবে সম্পূর্ণ বিস্ফোরক তৈরি হতো, তাহলে ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ হতে পারত।\উমর নবী সম্ভবত নিজের গাড়িতেই দ্রুত গতিতে বিস্ফোরক সরানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু গাড়ি চলন্ত অবস্থাতেই আচমকা ঘটে যায় বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলের প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় গাড়ির গতি ছিল অনেক ধীর। তাই গোয়েন্দাদের ধারণা আরও স্পষ্ট এটি কোনও আত্মঘাতী হামলা নয়, বরং প্রস্তুতির মধ্যেই ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা।ফরিদাবাদে পুলিশি অভিযানে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় আগেই ধাক্কা খায় জঙ্গি মডিউল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই সময় দেশজুড়ে গোয়েন্দা ও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলেই আরও বড় কোনও হামলা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।তবে এখানেই শেষ নয়। এখনও চলেছে তদন্ত। উমর নবীর সমস্ত সম্ভাব্য লিঙ্ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ, এবং বিস্ফোরকের উৎস সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তত্ত্বাবধানে। প্রশ্ন একটাই ওই বিস্ফোরক দিয়ে ঠিক কী করতে চেয়েছিল উমর ও তার দল?

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

১৩ দিন আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকিয়ে ছিল ঘাতক গাড়ি! উমর নবীর ছক ফাঁস

দিল্লির রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে উঠে আসছে রোমহর্ষক তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত Hyundai i20 গাড়িটি প্রায় ১৩ দিন ধরে লুকিয়ে রাখা ছিল হরিয়ানার আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই! সূত্রের খবর, ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আর এই সময়েই তৈরি হচ্ছিল ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি কেনা হয়েছিল ২৯ অক্টোবরই। পরের দিনই দূষণ পরীক্ষার (PUC) জন্য একবার বাইরে নেওয়া হয়, তারপর ফের এনে রেখে দেওয়া হয় ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল বিভাগের পাশে, যেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল ডাক্তার মুজাম্মিলের সহযোগী শাকিলের গাড়ি। CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এই ১১ দিনের মধ্যে বারবার কয়েকজন যুবক গাড়িটির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন।তদন্তকারীদের মতে, এটা যে একেবারে পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাস ছক, তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিস্ফোরকের জোগান হয়েছে সেই বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা। এখন তাঁদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের কেমিক্যাল থেকেই কি তৈরি হয়েছিল সেই মারাত্মক বিস্ফোরক, নাকি বাইরের জঙ্গি নেটওয়ার্ক থেকে এনে সেখানে মজুত করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সামগ্রী?প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। মনে করা হচ্ছে, এই পুরো পরিকল্পনার মূল মস্তিষ্ক শুধু ড. উমর নবি নন, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন অধ্যাপক মুজাম্মিলও। কিন্তু মুজাম্মিল গ্রেফতার হওয়ার পরই আতঙ্কে পড়ে যান উমর। তাঁর ধারণা হয়, আর বেশি দিন আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটে গাড়ি রেখে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। আর সেই আতঙ্কেই ১০ নভেম্বর সকালে দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি গন্তব্য দিল্লি।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতরে উমরের সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। তাঁদের অস্তিত্বও মিলেছে তদন্তে। গাড়িটি ছিল বিস্ফোরক বোঝাই। পথজুড়ে গাড়ির গতি ছিল ভয়ঙ্কর দ্রুত।হরিয়ানা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে রাজ্য সীমান্তের বদরপুর টোল প্লাজায় গাড়িটি ধরা পড়ে। টোল কর্মীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে ২৫ নম্বর টোল গেট দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করে উমরের গাড়ি। টোলের ২৬ নম্বর গেটটিতে ইমার্জেন্সি লেখা বোর্ড থাকা সত্ত্বেও সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছিল গাড়িটি। কর্মীরা বাধা দিলে পাশের গেট দিয়ে প্রবেশ করে উমর। টোল প্লাজার কর্মীদের কথায়, রাস্তা ছিল ব্যস্ত, কিন্তু গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, মুহূর্তে চোখের আড়ালে চলে যায়।তদন্তকারীরা বলছেন, এত দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গাড়ি লুকিয়ে রাখা, মুজাম্মিলের যোগসূত্র, এবং তারপর আতঙ্কে পালানো সব মিলিয়ে এটা যে একটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস মডিউলের অংশ, তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

‘গভীর ষড়যন্ত্র’, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদীর! দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি

দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণকে গভীর ষড়যন্ত্র বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ভুটান সফরে গিয়ে সেই বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ টেনে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, দিল্লির ঘটনায় আমি মানসিকভাবে খুব ভারাক্রান্ত। যারা নিজেদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারছি। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এক গভীর ষড়যন্ত্র।সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ নাগাদ দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় আশপাশের গাড়িগুলিতে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় অন্তত আটজনের। আহত বহু। বিস্ফোরণের পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও এনএসজি কমান্ডোরা। ঘটনার পরদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভুটান সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রওনা দেন তিনি।ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তারা রেহাই পাবে না। আমি প্রতি মুহূর্তে ঘটনার আপডেট নিচ্ছি। তদন্তকারীরা খুব তাড়াতাড়ি এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা মাথাদের চিহ্নিত করবে। ভারত সরকার কোনওভাবেই এমন জঘন্য কাজ বরদাস্ত করবে না।ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়ির গতিপথ চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গাড়িটি বিকেল চারটের দিকে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ঢোকে এবং তিন ঘণ্টা পর বের হয়। পরে সেই গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে।এদিকে বিস্ফোরণ ঘিরে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। গৃহমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় জঙ্গি যোগ-এর দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।রাজধানীর এমন সংবেদনশীল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, লখনউ চার মেট্রো শহরে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রধানমন্ত্রী নিজে আশ্বস্ত করেছেন দেশবাসীকে ভারতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে। আমরা এর জবাব দেব শক্ত হাতে।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণ ঘিরে বড় ফাঁস! গাড়ির মালিকদের জবানবন্দিতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাস্তায় চাপা চাপ রক্ত, কোথাও ছড়িয়ে রয়েছে দেহাংশ। আতঙ্কে জমে গিয়েছে রাজধানীর বাতাস। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লা সংলগ্ন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে গাড়িটি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশের কাঁচের দেওয়াল ভেঙে যায়, উড়ে যায় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো বাইক, জখম অন্তত ২০ জন, মৃত্যু এখন পর্যন্ত আট জনের।প্রথমে মনে করা হয়েছিল, কোনও পার্কিং লটে থাকা গাড়িতে শর্ট সার্কিটের জেরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু তদন্ত এগোতেই চিত্রটা পাল্টে যায়। দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরণের কেন্দ্রবিন্দু সেই ছোট গাড়িটিই একটি হুন্ডাই আই২০। গাড়িটির নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। রেজিস্ট্রেশনের নাম মহম্মদ সলমন। খবর পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।সলমন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গাড়িটি বিক্রি করে দেন দক্ষিণ দিল্লির ওখলার এক বাসিন্দা দেবেন্দ্রর কাছে। বিক্রির সমস্ত কাগজপত্রও পুলিশের হাতে জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখানেই ঘটনার মোড় ঘোরে। সূত্র অনুযায়ী, দেবেন্দ্রর কাছ থেকে গাড়িটি যায় হরিয়ানার অম্বলার এক বাসিন্দার হাতে। সেখান থেকে সেটি পৌঁছয় জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার তারিক নামের এক ব্যক্তির কাছে।এখন প্রশ্ন উঠছে এই তারিক আদৌ কাকে গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন? নাকি তিনিই ছিলেন বিস্ফোরণের রাতে স্টিয়ারিংয়ের পেছনে? সেই উত্তর এখনও মেলেনি। তদন্তকারীরা এখন খুঁজছেন তারিকের ফোন রেকর্ড, ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন এবং দিল্লিতে তাঁর গতিবিধির খোঁজ। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আমাদের অনুমান কেউ প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিল। হয়তো গাড়ির ভিতরে আইইডি ছিল। সামান্য চাপেই সেটা বিস্ফোরিত হয়।তবে এটুকু স্পষ্ট ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের মুহূর্তে গাড়ির জানালা দিয়ে এক ব্যক্তির হাত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখ অস্পষ্ট হলেও, পোশাকের রং ও দেহবিন্যাস দেখে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, তিনি হয়তো কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরেই এখন ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক মডেলের সঙ্গে মিল খুঁজছে এনআইএ ও দিল্লি পুলিশ।রাজধানীর বুকে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে। আত্মঘাতী হামলার গন্ধ, পাকিস্তান যোগের ইঙ্গিত, আর ক্রমে জট পাকানো গাড়ি বিক্রির গল্প সব মিলিয়ে গোটা রহস্য এখন চরম ধোঁয়াশায়।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিলেন উমর! পুলিশের হাতে জোরালো প্রমাণ

দিল্লির বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। লালকেল্লার কাছেই বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে নয় জনের। ঘটনার পরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সীমান্ত পেরনোর সময় সন্দেহভাজন গাড়িটির ভিতরে এক ব্যক্তির হাত ও অস্পষ্ট মুখ। তদন্তকারীদের মতে, সেই ব্যক্তিই সম্ভবত পুলওয়ামার চিকিৎসক মহম্মদ উমর যিনি ফরিদাবাদের বিস্ফোরণ চক্রের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত।তদন্তে প্রকাশ, ফরিদাবাদের ঘটনায় সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের গ্রেফতারির পর থেকেই উমর ছিলেন আতঙ্কে। সেই থেকেই নাকি আত্মঘাতী হামলার ছক কষতে শুরু করেন তিনি। উমরই বিস্ফোরক বোঝাই হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে আশঙ্কা পুলিশের। ওই গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দেড় বছর আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দেন তিনি। তারপর আরও দুইবার হাতবদল হয়ে গাড়িটি পৌঁছয় পুলওয়ামার তারিক নামে এক ব্যক্তির কাছে। তাকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।তদন্তকারীদের বক্তব্য, দিল্লির বিস্ফোরণ ও ফরিদাবাদের বিস্ফোরক উদ্ধারের মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে একই মডেলের আইইডি ডিভাইস। সুতরাং এই দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা উমরের ফোন রেকর্ড, ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন ও পেশেন্ট ডেটা খতিয়ে দেখছে।সূত্রের দাবি, উমরের মোবাইল থেকে পাকিস্তানের বালাকোটে এক সন্দেহভাজন নম্বরে বারবার যোগাযোগের চিহ্ন মিলেছে। এই মুহূর্তে দিল্লি, কাশ্মীর ও ফরিদাবাদ পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। বিস্ফোরণ পরবর্তী এই গোটা রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে প্রতি ঘণ্টা।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal